
প্রকাশিত: ৮ ঘন্টা আগে, ০৬:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সদরুল আইনঃ
অন্তর্বর্তী সরকারের নির্লিপ্ততা বা সমর্থনে দেশে 'মবোক্রেসি' চলছে বলে মনে করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, মব সন্ত্রাস এবং শ্রমিক হত্যার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে বলেও মনে করে তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিয়ে নানা পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।
বিবৃতিতে সাম্প্রতিক শ্রমিক হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, অনেক শ্রমজীবী মানুষের রক্তের বদলে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। অথচ গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম বিনাবিচারে হত্যা করা হয়েছে শ্রমিককে।
শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এভারগ্রিন কারখানার শ্রমিক মো. হাবিব ইসলামকে হত্যার নিন্দাও জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়হীনভাবে এই ঘটনাগুলো কেবল ঘটতে দেয়নি, জনগণের ন্যুনতম মানবাধিকারকে বিপন্নতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আগের সরকারের মতই শ্রমিকবিরোধী, নারীবিরোধী, জাতিসত্তাবিরোধী, অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী ভূমিকা গ্রহণ করছে এই সরকার।
রংপুরে তারাগঞ্জে ভ্যানচালক রুপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে পিটিয়ে হত্যা, গঙ্গাছড়ায় ধর্ম অবমাননার 'প্রোপাগান্ডা' তৈরি করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর হামলা, লুট ও অগ্নিসংযোগ, লালমনিরহাটের নাপিত পরেশ চন্দ্র শীল ও তার ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীলকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মব তৈরি করে পেটানোর ঘটনাও তুলে ধরা হয়।
এছাড়া ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এক আলোচনা সভায় মব সন্ত্রাসের পরে পুলিশ সন্ত্রাসীদের না ধরে সেই সভার আলোচক মুক্তিযোদ্ধা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পরে সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে মব সন্ত্রাসসহ জনস্বার্থবিরোধী এসব তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানায় প্ল্যাটফর্মটি।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ সমাজের নানা পেশার শতাধিক ব্যক্তিকে নিয়ে গত বছরের ২২শে অগাস্ট এই প্ল্যাটফর্মটি গঠন করা হয়।তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।
মন্তব্য করুন