রূপালী বিশ্ব

প্রকাশিত: ১২ জুলাই, ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বিপর্যস্ত ১৪ লাখ মানুষ

বন্যায় আসামে ভয়াবহ পরিস্থিতি; মৃত্যু বেড়ে ৮৪ জন

ছবি: সংগৃহীত

মে মাসের শেষে বান ডেকে এনেছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তার রেশ না কাটতেই দ্বিতীয় দফা বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম। দীর্ঘসময় পার হলেও সেখানকার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনো ঈঙ্গিত নেই।

ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরও চরম অবনতি হয়েছে। শেষ খবর শুক্রবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত, রাজ্যজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা ৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

আর কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে মারা গেছে ১০টি গণ্ডারসহ ১৭৪টি প্রাণী।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ। রাজ্যের ৩৫টির মধ্যে ২৬টি জেলাই বন্যায় বিপর্যস্ত।

পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে কাচার, বরপেটা, কামরুপ, নাগাঁও, ধুবরি এবং বিশ্বনাথে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার নাগাঁও জেলা। আক্রান্ত জেলার মধ্যে আছে কাছাড়, বরপেটা, নগাঁও, ধুবড়ী, বিশ্বনাথ, গোলাঘাট, গোয়ালপাড়া, হাইলাকান্দি, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, মরিগাঁও, তিনসুকিয়া, নলবাড়ী, ধেমাজি, দক্ষিণ শালমারা, লক্ষ্মীপুর, করিমগঞ্জ, চড়াইদেও, বঙাইগাঁও, কোকরাঝাড়, দরং, যোরহাট, কামরূপ মেট্রোপলিটন, মাজুলী এবং চিরাং।

এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ধুবড়ী জেলার, সেখানে বন্যা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ১৮৬। এরপরে আছে কাছাড়, সেখানে বানে ভুগছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৯ জন এবং দরাংয়ে এই সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ জন।

বর্তমানে ১৮৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪১ হাজার ৫৯৬ মানুষ আছেন। এর বাইরে ১১০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭২ হাজার ৮৪৭ জনকে খাবার দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ১ লাখের বেশি মানুষ ঠাইঁ নিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে। এখনও বিদৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ব্রহ্মপুত্র নদীর পাশাপাশি কুশিয়ারা, সুবানসিরি এবং দিসাং নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।

রাজ্য সরকার জানিয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে প্রতিকুল পরিস্থিতির কারণে ক্রমেই বিপর্যস্ত মানুষের কাছে সহায়তা পাঠানো কঠিন হয়ে উঠছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবারও ২৬ জেলার ২৫৪৫ গ্রামে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৮ জনকে বন্যার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ব্রহ্মপুত্রসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে যাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আসামের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় বাড়িঘর, সেতু, সড়ক, বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি দুর্গতদের সহায়তা করছেন দুর্যোগকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসন।

মন্তব্য করুন