প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০২৫, ০২:২১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নিধনকৃত বন রক্ষার্থে গণসচেতনতা মূলক সভা

 

 

আবু ছাইদ, চিলাহাটি প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার গোসাইগঞ্জ বন বিভাগ থেকে প্রায় রাতের আধারে ছোট বড় গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন বিভাগের অনেক জায়গা ফাকা করা হয়েছে। কে বা কারা গাছ কেটে উজার করে ফেলছে তা সঠিক ভাবে কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। তবে বন বিভাগের দাবি জমির মালিকানা দাবি করে কিছু ব্যক্তি বন বিভাগের গাছ কেটে জায়গা ফাঁকা করে ফেলেছে। অপর দিকে জমি মালিকানাদের দাবি বন বিভাগ আমাদের পৈত্রিক সূত্রের রেকর্ড কৃত জমি রাতের আঁধারে গাছ লাগিয়ে জবরদখল করে নিয়েছে। জমি উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বন বিভাগ আদালতে কোন কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি। তাই আমাদের নাজেহাল করতে বন বিভাগের কিছু লোক রাতের আধারে গাছ কেটে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। এভাবে একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে রাতের পর রাত গোসাইগঞ্জ বন বিভাগের গাছ কেটে বন উজার করে ফেলছে।

নিধনকৃত উপজেলার ঐতিহ্য গোসাইগঞ্জ বন রক্ষার্থে ২৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে গণসচেনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডোমার বনবিভাগের রেঞ্জার আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে বন বিভাগের গাছ রক্ষার্থে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী,উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ভোগডাবুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু, ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম,চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খোরশেদ আলম ও ভোগডাবুরী ইউ,পি সদস্য আব্দুর রউফ প্রমুখ। এ সময় এলাকার শত শত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তারা বলেন, বন দেশের ও পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। গোসাইগঞ্জ বন বিভাগের জমির উপর যেহেতু মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত বনবিভাগ থেকে গাছ কর্তন করা আইন আনুক অপরাধ। যে পক্ষ আদালতের রায় পাবে সে পক্ষ জমি ও গাছের মালিকানা পাবে। ততদিন কেউ বন বিভাগের গাছ কর্তন করতে পারবেন না। এ সময় উপস্থিত সকলেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আশ্বস্ত করেন আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত গোসাইগঞ্জ বন বিভাগ রক্ষার্থ সকলেই সহযোগিতা করবে।

 

মন্তব্য করুন